prolong 30 এর কাজ কি - prolong 30 খাওয়ার নিয়ম

আমরা অনেকেই পুরুষজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ গ্রহন করে থাকি কিন্তু সেই ওষুধের সম্পর্কে হয়তো বিস্তারিত তথ্য আমাদের জানা নেই। একজন অভিজ্ঞ ডাক্তাগ কখনোই ভুল চিকিৎসা করে না। তবে কেউ যদি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করে তাহলে অবশ্যই সেই ওষুধগুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিতে হবে।

মূলত যাদের দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা ও  লিঙ্গের সমস্যায় ভোগে তাদের এ ধরনের সমস্যা থেকে নিরাময় পেতে কার্যকরী ঔষধ সম্পর্কে আলোকপাত করেছি। সুতরাং যারা এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে চান তাদের ক্ষেত্রে এই প্রোলং ৩০ ওষুধ সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরী। 

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা প্রতিনিয়ত গুগলের কাছে prolong 30 ওষুধ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাই তার মধ্যে একটি হচ্ছে Prolong 30 ট্যাবলেট এর কাজ কি বা এই ওষুধ কি কাজ করে সেই সম্পর্কে। মূলত এজন্যই পোষ্টের শুরুতেই আমরা এই ওষুধের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি। যেসব ব্যক্তিরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছেন তাদের নানান ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

বিয়ের আগে অনেকের এই ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করা না গেলেও বিয়ের পর কিন্তু বেশিরভাগ পুরুষদের বিভিন্ন ধরণের যৌ*ন দুর্বলতার সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ সময়ে সঙ্গীনী মনঃক্ষুণ্ণ থাকতে হয়। তবে আপনাদের জানাতা জরুরি যে মানুষের জীবনে যেমন সমস্যা রয়েছে তেমনি এর সমাধানও রয়েছে।

সমস্যা যেহেতু রয়েছে সেই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রয়োজন হয় পরিপূর্ণ চিকিৎসা। যাদের অকালীন বী*র্যপাতের সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে প্রোলং ৩০ ট্যাবলেট খেয়ে চিকিৎসা গ্রহন করতে পারেন। এবং এই ধরনের চিকিৎসার জন্য এই মেডিসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

এই মেডিসিনটি অভিজ্ঞ ডাক্তাররা মূলত এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রেই ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার যেসব পুরুষদের অতি সহজেই লিঙ্গের উত্তেজনা সৃষ্টি হয় না তাদের ক্ষেত্রেও মুলত ডাক্তারেরা prolong 30 মেডিসিন ধরনের ঔষধ সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

এখানে prolong 30 মেডিসিন গ্রহনের সঠিক নিয়ম বা মাত্রা আমাদের প্রতিটা পুরুষদের অবশ্যই জেনে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা এ ধরণের সমস্যা নিয়ে ঘরে বসে আছেন, কিন্তু আমি বার বার বলব যে ভাই এ ধরনের সমস্যা নিয়ে আপনার কখনই বাসায় বসে থাকা উচিত হবে না। আপনাকে যথাসম্ভব যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

মূলত যাদের শারীরিক অক্ষমতা অনেক বেশি অর্থাৎ তাদের যৌন চাহিদার ক্ষেত্রে এই প্রোলং ৩০ ওষুধ  ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসকাও এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যে এই ওষুধ সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কারও (পুরুষের) যদি দ্রুত বী*র্যপাত হয়ে যায় তাহলে তাকে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ ও নিয়ম অনুযায়ী এই ঔষধ গ্রহন করতে পারবেন।

এই মেডিসিন সেবনের সঠিক নিয়ম হচ্ছে যখন সঙ্গিনীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে যাবেন তার মিনিমাম ১ ঘন্টা আগে একটি মেডিসিন সেবন করতে হবে। তবে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ অর্থাৎ ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এবং ৫৫ থেকে ৬০ বছরের নিচে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবনযোগ্য। 

অতএব যেসব পুরুষদের বয়স ১৮ বছরের কম কিংবা অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬৫ বছরের বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই মেডিসিন সেবন করতে বিশেজ্ঞরা অবশ্যই বারণ করেছেন। অতিমাত্রা হিসাবে আপনি যদি চান তাহলে prolong 60 মিগ্রা খেতে পারেন তবে অবশ্যই একটা বিষয় সবস্ময় মনে রাখবেন সেটি হচ্ছে যে একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ বা নির্দেশনা অনুযায়ী এই ওষুধ সেবন করা।

আপনারা অনেকেই জানেন যে প্রায় প্রতিটা ওষুধেরই কোন না কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তেমনি প্রোলং ৩০ ওষুধেরও অবশ্যই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। প্রোলং ৩০ ওশুধ যদি আপুনি নিয়ম অনুযায়ী সেবন না করেন অথবা মাত্রাতিরিক্ত সেবন করে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরে বেশ কয়েকটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে তবে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা হতে পারে সেটা হচ্ছে পেটের নানান ধরণের জটিলতা সৃষ্টি হওয়া। তবে এছাড়াও-

• বমি হওয়া
• বমি বমি ভাব
• জ্বর জ্বর ভাব
• মুখ শুকিয়ে যাওয়া
• মাথার ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে
• মাথা ঘোড়ানো ভাব হতে পারে ইত্যাদি।

উপরের উল্লিখিত সমস্যাগুলো সবার ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা নাও দেখা দিতে। যেসব পুরুষদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম সেসব পুরুষদের ক্ষেত্রে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বেশি দেখা দিতে পারে। এই ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে খাওয়াটা একসময়ে গিয়ে অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। 

তাই যথসম্ভব একজন ভালো বা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে ভালোমতো পরামর্শ করা তার দেওয়া নির্দেশনা বা নিয়ম অনুযায়ী প্রোলং ৩০ ট্যাবলেট সেবন করা। আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে খুব দ্রুত আপনার সমস্যা থেকে রেহায় পেয়ে যাবেন। আশা করছি আপনারা ইতিমধ্যে প্রোলং ৩০ ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর প্রভাবগুলো জানতে পেরেছেন। এবার আসুন, আমরা Prolong 30 এর দাম কত সেই সম্পর্কে জেনে নিই।

প্রোলং ৩০ মিগ্রা ট্যাবলেট এর মূল্য জেনে নেওয়ার আগে আমরা জানবো এই ওষুধ কোন কোম্পানি বাজারজাত করেন। এই ওষুধ সাধারনত মূলত জিস্কা ফার্মাসিউটিক্যালস লি কোম্পানি বাজারজাত করে থাকেন। এটি বাংলাদেশের অনেক সুনামধন্য কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। যার জেনেরিক নাম হচ্ছে ড্যাপোক্সেটিন হাইড্রোক্লোরাইড। আপনারা নির্দ্বিধায় এই কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।

তবে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। এবার চলুন আমরা প্রোলং ৩০ মিগ্রা ট্যাবলেট এর দাম সম্পর্কে জেনে নেই। প্রোলং ৩০ মিগ্রা ট্যাবলেট প্রতি পিচের মূল্য হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকা। এবং আরেকটি ভেরিয়েন্ট রয়েছে যেটি প্রোলং ৬০ মিগ্রা এর প্রতি পিচ এর মূল্য হচ্ছে মাত্র দাম ৫০ টাকা।

আপনারা এই মেডিসিনটি আপনার নিকটস্থ ফার্মেসির দোকান থেকে কিনতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ অনুযায়ী এই মেডিসিন সেবনযোগ্য। ভুলেও নিজে থেকে সেবন করতে যাবেন না। নাহলে দেহে বিভিন্ন ধরণের জটিল ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে। তাই আমরা আশা করব যে আপনারা এই ওষুধ খাওয়ার আগে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী সেবন করবেন। আশা করছি এই সম্পূর্ণ বিষয়গুলো বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। 

প্রশ্ন: প্রলং ৩০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট কোন কোম্পানি বাজারজাত করে?

উত্তর: প্রলং ৩০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট জিস্কা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানি বাজারজাত করে।

প্রশ্ন: প্রতি পিস প্রলং ৩০/৬০ এর দাম কত?

উত্তর: প্রলং ৩০ প্রতি পিস কিনতে হলে আপনাকে মোট ৩০ টাকা গুনতে হবে। এবং প্রলং ৬০ প্রতি পিচ কিনতে গেলে ৫০ টাকা গুনতে হবে।

প্রশ্ন: প্রলং ৩০ এর জেনেরিক নাম কি?

উত্তর: প্রলং ৩০ এর জেনেরিক নাম হচ্ছে Dapoxetine Hydrochloride।

প্রশ্ন: প্রলং ৩০ ট্যাবলেট মানবদেহের কি কাজ করে?

উত্তর: প্রলং ৩০ ট্যাবলেট মানবদেহের দ্রুত বীর্যপাত রোধ ও পুরুষের লিঙ্গের উত্তেজনা বৃদ্ধি করে।

পরিশেষে আমরা প্রতিটা মেডিসিন গ্রহনের জন্যে বারংবার বলে থাকি যে নিজের রোগ ভালো করার ক্ষেত্রে আপনি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত নিজে থেকে কোন প্রকারের মেডিসিন সেবন করেন তাহলে আপনার দেহে ক্ষতিকর প্রভাব পরতে পারে। তাই যদি মেডিসিনের একান্তই প্রয়োজন পড়লে প্রথমে আপনাকে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তারপরে তার নিয়ম অনুযায়ী মেডিসিন সেবন করতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার রোগ অনেকটাই নিরাময় হয়ে গেছে ইনশাল্লাহ।

ইতিমধ্যে আমরা prolong 30 এর কাজ কি ও prolong 30 এর খাওয়ার নিয়মসহ এই  ট্যাবলেট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোকপাত করেছি। আপনারা হয়তো এই prolong 30 ট্যাবলেট সম্পর্কে এতক্ষণে ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে গেছেন। তবে আপনার যদি এই prolong 30 ট্যাবলেট এর বিষয়ে কোন ধরণের মতামত বা প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

prolong 30 ট্যাবলেট সম্পর্কিত আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এতে তারাও এই prolong 30 ট্যাবলেট  বিষয়ে বিস্তারিত অজানা তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবেন। বিভিন্ন মেডিসিন বা ওষুধ সম্পর্কিত অন্যেন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ সময়  ধরে এই পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।