Doxicap এর কাজ কি - ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করি আপনারা সকলেই ভালোই আছেন। আজকে আমরা একটি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি সেটা হচ্ছে ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি সেই সম্পর্কে। আপনি কি গলার প্রদহ জনিত সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে আজকে আমরা এই সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে যেই ওষুধ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি সেই ওষুধটি আপনার এই সমস্যার জন্য অনেক উপকারে আসতে পারে।
Doxicap এর কাজ কি - ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি

তো এই আর্টিকেলটি আপনি যদি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি এই বিষয়ে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি ডক্সিক্যাপ কোন রোগের ওষুধ, ডক্সিক্যাপ এর উপকারিতা, ডক্সিক্যাপ খাওয়ার নিয়ম, ডক্সিক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদিসহ আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্যগুলো আপনারা জানতে পারবেন। তাই আমার মনে হয় একেবারেই অবহেলা না করে মনোযোগ দিয়ে এই পোষ্টটি পড়ে জেনে নেওয়া।

ভূমিকা

বর্তমানে ডক্সিক্যাপ ওষুধটি আমাদের গলার প্রদহ জনিত সমস্যার জন্য প্রচূর ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি মূলত একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ হিসেবে পরিচিত। এই ঔষধ আমাদের দেহের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমন দূর করে থাকে। যাদের বিভিন্ন প্রদাহজনিত সমস্যা রয়েছে তারা হয়তো এই ওষুধ একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ব্যবহার করে আসছেন। 

ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি তা আপনারা অনেকেই গুগলের কাছে প্রতিনিয়ত সার্চ করে থাকেন। এজন্য আমরা আজকের এই আর্টিকেলে ডক্সিক্যাপ মেডিসিন ব্যবহার করার নিয়মসহ আরও অন্যান্য বিষয়ে এমন কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করব যাতে আপনি উপকৃত হতে পারবেন বলে আশাবাদী।

সাধারনত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সর্বদা একজন রোগীর দেহের অবস্থা বুঝে শুনে এই মেডিসিন খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। এই ওষুধ নিয়ম মাফিক সেবনের ফলে অনেকেরই খুব দ্রুত এই ধরণের সমস্যাগুলো ভালো হয়ে যায়। তাহলে চলুন, আর অতিরিক্ত কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনাতে ফিরে যায় আমরা প্রথমে জানবো ডক্সিক্যাপ কোন রোগের ওষুধ? সের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। 

ডক্সিক্যাপ কোন রোগের ওষুধ

আপনারা হয়ত জানেন যে ডক্সিক্যাপ একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ। যা আমাদের দেহের বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমন দমন করে থাকে। একটি ঔষধ আমাদের শরীরের পক্ষ হয়ে বিভিন্ন জটিল রোগের সমস্যার সমাধান দিতে পারে যেমন:
  • গলা ব্যথা সমস্যার ক্ষেত্রে
  • স্কিন ইনফেকশন সমস্যার ক্ষেত্রে
  • চোখের ইনফেকশন সমস্যার ক্ষেত্রে
  • টনসিল ফুলে যাওয়া সমস্যার ক্ষেত্রে
  • রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন সমস্যার ক্ষেত্রে
  • ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন সমস্যার ক্ষেত্রে ইত্যাদি।
বিশেষ করে গলার প্রদাহ জনিত রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন এই ওষুধ সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে মূলত doxicap কোন রোগের ওষুধ এটি আরও পরিস্কার হয়ে যাবেন যদি নিচের অংশ থেকে এই ওষুধের কাজগুলো সম্পর্কে জেনে নেন। তাহলে চলুন কি কাজ করে বা ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি এই সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারণা নেওয়া যাক।

ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি

আপনারা হয়তো জানেন যে প্রতিটা ওষুধেরই একটি নির্দিষ্ট কার্যকারিতা রয়েছে। তাই ডক্সিক্যাপ ১০০ মিগ্রা নিশ্চয় তার ব্যতিক্রম নয়। আপনারা অনেকেই ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি তা জানতে চেয়েছেন। তাই আমরা আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে এই বিষয়ে তুলে ধরেছি। এই ওষুধের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে এই অংশটি মনোযোগ সহকাড়ে পড়ুন। 

ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল বিভিন্ন  মানবদেহের রোগের বিরুদ্ধে উপকারী কাজ করে থাকে। এর কাজগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
  • দাঁতের রোগ 
  • ত্বক সংক্রমণ দূর করে
  • ত্বক ব্রণ হলে 
  • চোখের সংক্রমণ
  • গনোরিয়া দূর করে
  • চুলকানি দূর করে
  • গলা ব্যথা দূর করে
  • ডায়রিয়া নিরাময় করে
  • শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা 
  • সাইনোসাইটিস
  • ম্যালেরিয়া রোধ করে
  • নিউমোনিয়া হলে 
  • শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ  দূর করে
  • মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করে
  • টনসিলের সমস্যা হলে 
  • সর্দি বা কাশি বা ঠান্ডা হলে 
  • সেকেন্ডারি ইনফেকশন ইত্যাদি।
সাধারনত ডক্সিক্যাপ ১০০ মিগ্রা ক্যাপসুল উপরের উল্লিখিত রোগের বিরুদ্ধে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি সেই সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন। এবার চলুন, ডক্সিক্যাপ এর উপকারিতাগুলো জেনে নেওয়া যাক।

ডক্সিক্যাপ এর উপকারিতা

আমরা সবাই ওষুধ সেবন করি ভালো উপকার পাওয়ার জন্য। ডক্সিক্যাপ হচ্ছে মূলত ডক্সিসাইক্লিন টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি এন্টিবায়ােটিক ঔষধ হিসেবে পরিচিত। এটি আমদের দেহে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা পালন করে যেমনঃ
  • গ্রাম নেগেটিভ এর ক্ষেত্রে উপকারী
  • স্পাইরােচেট এর ক্ষেত্রে উপকারী
  • মাইকোপ্লাজমা এর ক্ষেত্রে উপকারী
  • এটি গ্রাম পজেটিভ এর ক্ষেত্রে উপকারী
  • রিকেটসিয়া এর ক্ষেত্রে উপকারী
  • মাইক্রোব্যাকটেরিয়ার এর ক্ষেত্রে উপকারী।
উপরোক্ত সমস্যার ক্ষেত্রে এই ডক্সিক্যাপ ওষুধ বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষের ভিতরে প্রবেশ করে প্রােটিন সিনথেসিস নামক উপাদানটি বন্ধ করতে সহায়তা করে থাকে। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা থেকে রেহায় পাওয়া যায়। 

আপনি যদি এই ওষুধের সঠিক উপকারিতা পেতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক এই ওষুধ সেবন করতে হবে। আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে এর উপকারিতাগুলো সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে গেছেন। এবার চলুন, ডক্সিক্যাপ সেবনের সঠিক নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।

ডক্সিক্যাপ খাওয়ার নিয়ম

ডক্সিক্যাপ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন১০০ মিগ্রা ২ টি করে ক্যাপসুল খেতে হবে তবে অবশ্যই ভরা পেটে হবে। এভাবে মিনিমাম ১ সপ্তাহ নিয়ম অনুযায়ী ডোজ চালু রাখতে হবে। আবার কিছু কিছু সময় ডোজ এর মাত্রা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কমবেশি করা যেতে পারে। 

তবে একটা বিষয় আপনাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে সেটি হচ্ছে যেহেতু এটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ তাই আপনাকে এই ঔষুধ গ্রহন করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। তা নাহলে আপনার শরীরে দেহে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

এই ঔষধ গর্ভবস্থায় কিংবা স্তন্যদানকালে ডাক্তাররা সেবন করতে নিষেধ করেছেন। আর গর্ভবস্থায় কখনও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যেকোন ঔষধ খাওয়া যাবে না। এতে কিন্তু গর্ভের ভ্রণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে ডক্সিক্যাপ ১০০ মিগ্রা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে পেরে গেছেন। এবার চলুন, ডক্সিক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নেওয়া যাক।

ডক্সিক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী এই ওষুধ সেবন না করেন তাহলে আমাদের দেহে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে। কারন প্রতিটা মেডিসিনেরই জিনিসেরই উপকারিতা থাকার পাশাপাশি সামান্য পরিমাণ হলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এই ওষুধ নিয়ম অনুযায়ী না খেলে বা অতিমাত্রায় সেবনে সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
  • অ্যানিমিয়া
  • বমি বমি ভাব হওয়া
  • অন্ননালিতে আলসার
  • বুক জ্বালাপোড়া করা
  • ডায়রিয়া জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল ফুসকুড়ি হতে পারে 
  • এলার্জি জনিত সমস্যা হতে পারে ইত্যাদি।
আপনি যদি এই ওষুধ ডাক্তারে পরামর্শ ছাড়া গ্রহন করেন তাহলে উপরোক্ত উল্লিখিত সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা দিতে পারে। তাই এই ওষুধের এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত। এই ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো সাধারনত হলেও জটিল হতে কতক্ষন।

বিষয়ে সচেতন থেকে এই ধরনের ওষুধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই একজন নির্বন্তিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা। আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে ডক্সিক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, ডক্সিক্যাপ ১০০ মিগ্রা ক্যাপসুল এর দাম কত তা জেনে নেওয়া যাক।

ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল এর দাম কত

আপনারা হয়তো অনেকেই ডক্সিক্যাপ ক্যপসুল সেবন করে থাকেন। এই ওষুধ কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে তাকে সেই সম্পর্কে হয়তো আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন। মানে আপনি যদি অপরের অংশগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে এতক্ষণে হয়তো এ ওষুধের ব্যবহারের নিয়ম গুলো বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এ পর্যায়ে আমরা এই ওষুধের বর্তমান মার্কেট প্রাইস কত সেই সম্পর্কে জেনে নেব। এই ডক্সিক্যাপ ওষুধ সাধারনত রেনেটা লিমিটেড কোম্পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। যার জেনেরিক নাম বা গ্রুপ হচ্ছে ডক্সিসাইক্লিন হাইড্রোক্লোরাইড। এ ওষুধের বর্তমান মূল্য সঠিক মূল্য জানতে হলে পোস্টের এই অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ে এই ওষুধের সঠিক দামটি জেনে নিন। 

প্রতি পিচ Doxicap ১০০ মি.গ্রা. এর দাম হচ্ছে প্রায় ২ টাকা এবং Doxicap ৫০ মিলিগ্রাম প্রতি পিচ এর দাম ১ টাকা। আপনি যেকোনো ওষুধের দোকান থেকে এই মেডিসিনটি কালেক্ট করতে পারবেন। আর একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে এই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা তা দেখে অবশ্যই ক্রয় করবেন। 

আসলে এসব ওষুধের দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ করে বলা বেশ কঠিন কেননা ওষুধের দাম যে কোন সময় কম বেশি হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধটি সেবন করবেন।আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল এর দাম কত তা জেনেছেন। 

লেখকের শেষ বক্তব্যঃ Doxicap এর কাজ কি - ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি

আমরা আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করেছি। আমরা এখানে ডক্সিক্যাপ ১০০ মিলিগ্রাম এর কাজ কি, ডক্সিক্যাপ খাওয়ার নিয়ম, ডক্সিক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল সংক্রান্ত আরও জরুরি ও প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

ডক্সিক্যাপ ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল সম্পর্কিত আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এতে তারাও এই ডক্সিক্যাপ ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল এর বিস্তারিত অজানা তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবেন। বিভিন্ন মেডিসিন বা ওষুধ সম্পর্কিত অন্যেন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url